ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার – শিক্ষা ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে

ইন্টারনেটকে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী বললে কোনো ভুল হবে না। কেননা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল ক্ষেত্রেই আমরা কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। সেটি হোক প্রত্যক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে।

তবে এর ব্যবহার এখানেই শেষ নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার ধারা এই ইন্টারনেট। আজকে আমরা ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

Read More : বন্ধুকে চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা | ডেমোসহ বিস্তারিত নিয়ম

ইন্টারনেট শব্দটা দেখতে সামান্য হলেও এর গভীরতা ও গুরুত্ব বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইন্টারনেট। যা সময়ের সাথে সাথে মানুষের আরো কাছে চলে আসছে।

আজ ইন্টারনেট মানুষের হাতের মুঠোয়। শুধুমাত্র ধ্বনি নয় বরং সাধারণ মানুষও আজ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তো চলুন এর ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

  1. শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  2. চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  3. বাণিজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  4. বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  5. ব্যক্তিগত জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  6. কর্মজীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  7. যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  8. সরকারি কার্যসমূহ সম্পাদনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  9. তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
  10. ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

  1. ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুদ্রিত বই সংরক্ষণ করা যায়।
  2. ইন্টারনেট আছেই বলে যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো বইয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করে পড়তে পারে।
  3. ইন্টারনেটে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে।
  4. জাতীয় শিক্ষাক্রমের সিলেবাস ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায়।
  5. ইন্টারনেট ব্যবহার করে বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল জানা যায়।
  6. ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়।
  7. ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।
  8. ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই পড়ালেখা করা সম্ভব। এমনকি অনেক বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কোর্স শিক্ষার্থীরা দেশে বসেই করতে পারছেন।
  9. ইন্টারনেটে থাকা ক্লাসগুলো বিনামূল্যে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সিলেবাস নিজে নিজে শেষ করতে পারেন।
  10. ইন্টারনেট আছেই বলে শিক্ষার্থীরা এখন আর শ্রেণীভিত্তিক পড়াশুনায় আবদ্ধ নয়। বইয়ের সাথে সাথে বাহ্যিক জ্ঞানও আহরণ করছে।

Read More : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ১০০, ২০০ এবং ২৫০ শব্দে

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

  • সাধারণ রোগ ও শারীরিক সমস্যার সমাধান অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়।
  • দূর-দূরান্তে চিকিৎসা করানোর জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
  • ইউটিউবে বিভিন্ন ডাক্তারি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়।
  • ইন্টারনেটে ঔষধপত্রের দাম জানা সম্ভব হয়।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সার্জারি ও শৈল্যচিকিৎসার অনুশীলন ও ট্রেনিং নেওয়া হয়।
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
  • চিকিৎসকেরা নিজেদের রোগীদের ডাটা (তথ্য) অনলাইনে সংরক্ষণ করে রাখেন।
  • স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা করার জন্য ইন্টারনেটে ব্যবহার করেন।
  • বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড এর মাধ্যমে রোগীদের ঔষধ ও সেবা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার

দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এর আগে আমরা জেনে গেছি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রায় সকলভাবেই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও জীবনে প্রত্যেকটি মুহূর্তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যাচ্ছি।

বর্তমান শতাব্দীর সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ অনেক গভীর। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম ইন্টারনেটের সাথে আরও গভীরভাবে ও অতীত তাড়াতাড়ি যুক্ত হতে পারে। ইন্টারনেটে সঠিক ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ হতে সহজতর করে তুলছে।

এছাড়াও বর্তমান সময়ে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেকেই ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারছেন। আমরা যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিজের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করেছি এটি কেবল ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।

আজ পৃথিবী এত উন্নত হয়েছে কেবলমাত্র ইন্টারনেটের আবিষ্কারের কারণে। বিজ্ঞানের প্রায় প্রত্যেকটি আবিষ্কারে এই ইন্টারনেটের অবদান লক্ষ্য করা যায়। মানব সভ্যতাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের ব্যবহার লক্ষণীয়।

Read More : ক্ষুদে গল্প লেখার নিয়ম কি? ৯ টি নিয়ম জেনে ১০ নম্বর তুলুন

ইন্টারনেট সুবিধা এবং অসুবিধা

Pros

  • মানুষের জীবন-যাপনের ম্যান অত্যান্ত উন্নত করেছে।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘন্টার কাজ মিনিটেই করা সম্ভব হয়েছে।
  • দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণ করলে ইন্টারনেটে থাকা গুগল ম্যাপ দিয়ে সহজেই রাস্তা চেনা যায়।
  • দূরবর্তী বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে মুহূর্তের মধ্যেই সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব।
  • ইন্টারনেটের কারণে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

Cons

  • অনৈতিক কাজে মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • প্রতারকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
  • মানুষ ইন্টারনেট জগতে আসক্ত হতে শুরু করেছে।
  • নতুন প্রজন্ম নিজের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে অপচয় করছে।
  • মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকে না।
  • মানুষের কর্মজীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে।
  • ইন্টানেটের একটি উপাদান আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) হাজার হাজার মানুষের চাকরি খেয়ে নিয়েছে।

উপসংহার

আজকের পোস্টে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার আলোচনা করা হয়েছে। একজন সাধারণ মানুষ এবং একজন শিক্ষার্থী উভয়ের কথা মাথায় রেখে আজকের আলোচনা করা হয়েছে।

কেননা অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার সাথে জড়িত বিষয় এটি। আবার অনেক সাধারণ মানুষও এই বিষয়ে জানার আগ্রহ রাখেন। তাই শিক্ষার্থীরা যদি ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে ১০টি বাক্য খুঁজছেন তবে উপরের পয়েন্টগুলো পড়তে পারেন।

আশা করছি পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী মনে হয়েছে। তাই পোস্টটি শেয়ার করে সকলের কাছে পৌঁছে দিন। কোনো কিছু বলার ও জানার থাকলে কমেন্ট করুন। শতভাগ উত্তর দেওয়া হবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment