কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় এবং ফাস্ট করার উপায়

যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের কাছে অতি পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো কাজ করা। এই স্লো কাজ করার কিছু নেই অনেকগুলো কারণ রয়েছে। ঠিক কোন একটি কারণ বিবেচনা করে বলা যায় না যে আপনার ল্যাপটপ স্লো কেন কাজ করছে।

এর পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। আজকে আমি এই কারণগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। তাছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় কি সেটা জানিয়ে দেবো।

আমার উল্লেখ করা কারণগুলো হতে আপনি নিজের ল্যাপটপের সাথে মিলিয়ে নিজের ল্যাপটপ স্লো হওয়ার মেইন কারণটি যাচাই করে নিবেন। এরপর সেটির সমাধান দেখে নেবেন এবং নিজের ল্যাপটপের সেই সমস্যাটি সমাধান করবেন। আবার, আপনার ল্যাপটপ আগের মতই কাজ করবে।

Read More : ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপস ডাউনলোড করব?

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় কি?

আমরা যখন নতুন নতুন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয় করি তখন এটি অতি ফাস্ট বা দ্রুত ভাবে চলে। কিন্তু দিন যাবার সাথে সাথে আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্লো হতে থাকে। একসময় এটি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।

আগেই বলেছি এই পরিস্থিতির জন্য কোন একটি কারণকে দায়ী করা যাবে না। এটি একটি সাধারণ বিষয় যে কিছুক্ষণ পর বা ক্রয় করার কিছু দিনের মধ্যে কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার শ্লো কাজ করা শুরু করে।

এর হাত থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে কিছু কিছু পদক্ষেপও আছে যেগুলো নিতে হয়। তো চলুন জেনে নেই সে কারণগুলো যার কারণে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়।

  1. RAM কম থাকা
  2. হার্ড ড্রাইভ ভরে যাওয়া
  3. মেলওয়্যার অ্যাটাক
  4. উইন্ডোজ ক্র্যাশ
  5. অধিক পরিমাণে অকেজো ফাইল
  6. বড় বড় সফটওয়্যার ইত্যাদি

উপরোক্ত এই কিছু কিছু বিষয়ই প্রধান কারণ হচ্ছে আপনার ল্যাপটপ স্লো কাজ করার। এগুলোর বাইরে আর তেমন কোন কারণ নেই যার কারণে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়। আপনার সমস্যার জন্য এই কারণগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক কারণগুলো দায়ী। এছাড়াও কিছু কিছু কারণ থাকতে পারে কিন্তু সেগুলো অনেক রেয়ার।

1. RAM কম থাকা

কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে র‍্যাম কম পরিমাণে থাকা সেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্লো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। আমাদের দেশে কিনতে পাওয়া মিডিয়াম রেঞ্জের ল্যাপটপগুলোতে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ জিবি কিংবা ৮ জিবি র‍্যাম এর হয়ে থাকে।

কিন্তু আমরা যদি আধুনিক পৃথিবীর সাথে বিবেচনা করি। তাহলে এই স্বল্প পরিমাণ ram যথেষ্ট নয়। কাজেই আপনার কম্পিউটারের ল্যাপটপ তো স্লো কাজ করবেই। কোন ল্যাপটপকে দ্রুত বা Fast ব্যবহার করার জন্য এর মধ্যে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ জিবি র‍্যাম থাকা প্রয়োজন।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় এবং ফাস্ট করার উপায়

Read More : কাস্টমাইজেশন কি? অনলাইনের ভাষায় কাস্টমাইজেশন এর উদাহরণ

অনেকে এর চেয়ে বেশি বেশি রেম নিজের কম্পিউটারে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু ল্যাপটপে এক্সট্রা ভাবে র‍্যাম লাগানোর কোন উপায় থাকে না। যার কারণে ল্যাপটপ ব্যবহারকারী অল্প পরিমাণ র‍্যাম ওয়ালা ল্যাপটপ কেনার কারণে পরবর্তীতে এটি আপডেট করতে পারেন না।

তাদের ল্যাপটপ বেশি পরিমাণে চাপ সামলাতে না পেরে স্লো হয়ে যায়। তবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি পুরো আলাদা। তারা নিজের ডেক্সটপে ক্যাচিং খুলে সেখানে নিজের ইচ্ছামত রেম আপডেট করতে পারেন।

কারো কম্পিউটারে ৪ জিবি র‍্যাম থাকলে সে সেখানে ১৬ জিবি এমনকি ৩২ জিবি র‍্যামও আপডেট করতে পারে। কিন্তু ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা এ কাজটি করতে পারেন না। আর এত বেশি পরিমাণে র‍্যাম যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে হলে গুনতে হয় অধিক পরিমাণ টাকা।

যার কারণে সব দিক থেকে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীগণ ফেঁসে যান। তাই আপনার ল্যাপটপে যদি কম পরিমাণে র‍্যাম থেকে থাকে। তাহলে, আপনার ল্যাপটপ স্লো হওয়ার ক্ষেত্রে মূল কারণ এটাই। তাই যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজের ল্যাপটপের র‍্যাম আপডেট করুন এতে দেখবেন আপনার ল্যাপটপ দ্রুত কাজ করবে।

2. হার্ড ড্রাইভ ভরে যাওয়া

হার্ড ড্রাইভ কে আমরা অনেকেই হার্ডডিস্ক নামে চিনে থাকি। এই হার্ডডিস্ক আমাদের কম্পিউটারের বা ল্যাপটপের সকল ডাটাগুলো নিজের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখে। সহজে নষ্ট হয় না। তাছাড়াও আমরা যে উইন্ডোজ সেটআপ দেই সেটি মূলত হার্ডডিক্সেই সেটাপ হয়ে থাকে।

তাই আমরা বুঝতে পারছি একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হার্ডডিক্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এই হার্ডডিস্কের পরিমাণ অনেক কম থাকে। যেমন সবচেয়ে কম পরিমাণে হার্ডডিস্ক হচ্ছে ৮০ জিবি।

এই ৮০ জিবি হার্ডডিক্স ভরতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু যারা একটু প্রফেশনাল ও ভালো মানের কম্পিউটার চালান তাদের কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে হার্ডডিক্সের পরিমাণ থেকে ৫০০ জিবি থেকে ওয়ান টেরাবাইট বা টু টেরাবাইট।

কাজেই বুঝতে পারছেন তাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কতটা দ্রুত চলবে। কিন্তু আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে যদি স্বল্প পরিমাণে হার্ডডিস্ক থাকে। তাহলে এটি তো অনেক সহজেই অনেক কম সময়ে ভরে যাবে।

যারপর শুরু হবে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা। কিন্তু এখানেও কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা অনেক এগিয়ে। কারণ তারা ইচ্ছামত ডেক্সটপে নিজের হার্ডডিস্ক আপডেট করতে পারেন।

তারা চাইলেই ৫০০ জিবি বা ওয়ান টেরাবাইট হার্ডডিস্ক কম্পিউটারে লাগিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা ইচ্ছেমতো নতুন হার্ডডিক্স সেটআপ করতে পারেন না। তাদের ল্যাপটপে থাকা হার্ডডিক্স দিয়েই তাদেরকে মানিয়ে নিতে হয়।

তাই নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে বেশি পরিমাণে হার্ডডিক্স আছে ও বেশি পরিমাণে র‍্যাম আছে এইরকম ল্যাপটপ গুলি কিনুন। এতে আপনার ল্যাপটপ কখনো স্লো কাজ করবেন না। তারপরও আপনি চেক করুন আপনার হার্ডডিস্ক পুরো ভরে গিয়েছে কিনা।

যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে হার্ডডিস্কের পরিমাণ কম। তারা অবশ্যই নিজেদের হার্ডডিস্ক চেক করুন। যদি হার্ডডিস্ক পুরো ভরে যায় তাহলে আপনি অকেজো ফাইল ও সফটওয়্যার গুলো সেখান থেকে ডিলিট করে দিন।

এতে আপনার হার্ডডিস্ক কিছুটা খালি হবে এবং ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কিছুটা দ্রুত কাজ করতে পারে।

Read More : ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম । ৩টি চমৎকার নিয়ম ও সফটওয়্যার

3. মেলওয়্যার অ্যাটাক

ম্যালওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার ভাইরাস। এই ম্যালওয়্যারটি অতি সহজে ল্যাপটপে বা কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে। একটি নতুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার পর আমরা অনেকগুলো সফটওয়্যার ইনস্টল করে থাকি।

এই সফটওয়্যার গুলোর ভিতরে বা ফাইলগুলোর ভিতরে ম্যালওয়্যার থাকে। অনেকেই খারাপ মস্তিষ্কের মানুষ হয়ে থাকে যারা মানুষের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানোর জন্য বিভিন্ন ফাইলে ম্যালওয়ার যুক্ত করে দেয়।

পরবর্তীতে যখন ব্যবহারকারী এই মেলওয়ার যুক্ত ফাইল ইন্সটল করে। তখন তার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এই ম্যালওয়্যার ঢুকে যায়। আস্তে আস্তে এই ম্যালওয়্যার নিজের বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে।

এক সময়ে এটি কম্পিউটারের উপর অ্যাটাক করে এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়। তাই আপনার কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে যদি এমন কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকেন যেটি ম্যালওয়ার যুক্ত আছে।

হতে পারে এই সফটওয়্যার বা ফাইলের জন্যই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হয়ে গিয়েছে। তাই চেষ্টা করুন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা ও এই মেলওয়ার যুক্ত সফটওয়্যার গুলো ডিলিট করা। তবে যদি আপনি এই কাজ করতে না পারেন।

তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারকে আবার উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়া। এভাবে আপনার ল্যাপটপে নতুন উইন্ডোজ সেটআপ হয়ে যাবে এবং পূর্বের সব ডাটা গুলো ডিলিট হয়ে যাবে। ডাটাগুলোর সাথে যত ভাইরাস থাকবে সেগুলোও ডিলিট হয়ে যাবে।

4. উইন্ডোজ ক্র্যাশ

কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ক্ষেত্রে উইন্ডোজ ক্র্যাশ করা একটি সাধারণ বিষয়। আমরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করি তখন এর উইন্ডোজ ক্র্যাশ খাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ছোটখাটো ভাইরাসগুলো অ্যাটাক করে।

এভাবে চলতে চলতে একসময় উইন্ডোজ ক্রাশ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিজে নিজে রিস্টার্ট নেওয়া শুরু করে। তাছাড়াও অনেক স্লো কাজ করে। এর শেষ পরিণতি হচ্ছে যে আপনার উইন্ডোস ক্র্যাশ করতে করতে একসময় উইন্ডোস উড়ে যাবে।

সেটি উদ্ধার করা আর সম্ভব হয় না। এর জন্য আপনাকে আবার থেকে নতুন উইন্ডোজ সেটআপ দিতে হয়। তাই windows ক্র্যাশ করাও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো কাজ করার একটি কারণ। আপনি দেখুন আপনার উইন্ডোজের কোন সমস্যার জন্য আপনার ল্যাপটপ স্লো কাজ করছে কিনা।

পারলে উইন্ডোজের আপডেটগুলো করতে থাকুন। উইন্ডোজ কিভাবে আপডেট করতে হয় সেটি আপনি ইউটিউবে দেখলেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া যদি উইন্ডোজ ঠিক না হয় তবে আপনি নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে দিন।

আর নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার পর আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার পানির মতো দ্রুত কাজ করবে। এটি একটি অনেক ভালো সমাধান।

Read More : নতুন ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন | ৫টি কার্যকর নিয়ম

5. অধিক পরিমাণে অকেজো ফাইল

আমাদের অজান্তেই আমাদের ল্যাপটপে অনেকগুলো অকেজো ফাইল জমা হয়ে যায়। তাছাড়া অনেকে আছেন যারা নিজের ল্যাপটপে অনেক কিছু ইন্সটল করেন। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো ডিলিট করেন না।

যার কারণে আস্তে আস্তে সকল ফাইলগুলো জমা হতে থাকে। এতে আপনার হার্ডডিক্স এর স্পেস ও নষ্ট হয় এবং আপনার ল্যাপটপ ও স্লো কাজ করে। তাই আপনি যথাসম্ভব সকল অকেজো ফাইলগুলো ডিলিট করতে থাকুন।

এছাড়াও অনেক ধরনের অকেজ ফাইল আছে যেগুলো সহজে ডিলিট করা যায় না। এর জন্য কিছু কিবোর্ড কমান্ড রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি এই অকেজো ফাইলগুলো ডিলিট করতে পারবেন।

  • Windows + R চাপুন। এরপর সার্চ বক্স ওপেন হবে।
  • সেখানে temp লিখে Enter বাটন প্রেস করুন।
  • এরপর অনেকগুলো ফাইল দেখা যাবে সবগুলো একসাথে সিলেক্ট করে ডিলেট করে দিন।
  • আবারো Windows + R চাপুন। এরপর সার্চ বক্স ওপেন হবে।
  • সেখানে prefetch লিখে Enter বাটন প্রেস করুন।
  • এরপর অনেকগুলো ফাইল দেখা যাবে সবগুলো একসাথে সিলেক্ট করে ডিলেট করে দিন।
  • তৃতীয় বার আবারো Windows + R চাপুন। এরপর সার্চ বক্স ওপেন হবে।
  • এবার সেখানে %temp% লিখে Enter বাটন প্রেস করুন।
  • এরপর যতগুলো ফাইল দেখা যাবে সবগুলো একসাথে সিলেক্ট করে ডিলেট করে দিন।
  • সবশেষে এ গিয়ে সকল থ্রাশ ফাইলগুলো পার্মানেন্টলি ডিলেট করে ফেলুন।
  • এখন দেখবেন আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিছুটা দ্রুত কাজ করছে।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় এবং ফাস্ট করার উপায়
ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয়

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় এবং ফাস্ট করার উপায়
ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয়

এভাবে করে উপরে উল্লেখিত সকল ৩টি পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এতে করে আপনার কম্পিউটারে লুকিয়ে থাকা সকল অকেজো ফাইলগুলো ডিলেট হয়ে যাবে।

6. বড় বড় সফটওয়্যার

আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করলে ডিভাইস স্লো কাজ করে। অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারে কম র‍্যাম, প্রসেসর কিংবা হার্ডডিক্স আছে।

কিন্তু আপনি এমন এমন সফটওয়্যার ইন্সটল করছেন যেগুলোর জন্য অনেক বেশি পরিমাণে RAM, প্রসেসর এবং হার্ডডিক্স লাগে। এই কাজের জন্য আপনার ল্যাপটপ স্লো কাজ করা শুরু করে। তাই কোন ভারী সফটওয়্যার ইন্সটল করার আগে তার ক্যাপাসিটি দেখে নিবেন।

তার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে। তাহলেই সে সফটওয়্যার ইনস্টল করুন। এছাড়া করবেন না। আর যদি আপনাকে বড় বড় সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আপগ্রেড করুন।

Read More : পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়? কেনার আগে করণীয় কি?

Conclusion – কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায়

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয়। আমি উপরে এই বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনা হতে আপনি নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হওয়ার কারণ গুলো জানতে পেরেছেন।

সকল কারণগুলোর সাথে আমি এর সমাধানও উল্লেখ করে দিয়েছি। কাজেই আপনি যদি ভালো করে সেগুলো পড়েন এবং সমাধান গুলো আয়ত্ত করেন। তবে আপনি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায় ও পেয়ে যাবেন।

Leave a Comment