সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে? যাওয়ার উপায় ও কাজের চাহিদা

সুইজারল্যান্ড হচ্ছে একটি উন্নত দেশ। বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে গিয়ে কাজ করার মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব প্রবাসে গিয়ে কাজ করার মন-মানসিকতা রাখা ভাইদের কাছে বেশ কয়েকটি দেশ অত্যান্ত জনপ্রিয়। আসলে যে দেশে সুযোগ-সুবিধা, বেতন, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও পরিবেশ যত সুন্দর হয়ে থাকে আমাদের দেশের কর্মীরা সে দেশে গিয়ে কাজ করতে ততটাই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

এমনই একটি দেশের নাম হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এমন কোন ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে এই সুইজারল্যান্ড দেশের নাম কখনো শুনেনি। সুইজারল্যান্ড নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে আসে মনোরম একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য। যেখানে পরিবেশটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক লীলাময়ে আবৃত থাকে। আসল অর্থে সুইজারল্যান্ড দেশটি ঠিক একই রকম। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শকদের মনকে মাধুর্য করে তোলে।

আজকে আলোচনা করব এই সুইজারল্যান্ড দেশ নিয়ে। বিশেষ করে যারা সুইজারল্যান্ডে গিয়ে কাজ করতে চান তাদের জন্য সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে, বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায়, সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সেখানকার মুদ্রা সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি তথ্য এই পোস্টে আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হবে।

Read More : সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন | সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত

Table of Contents

সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে?

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ ২ ভাবে হিসাব করতে হবে। কেননা বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার ২টি মাধ্যম রয়েছে। উভয় মাধ্যমে খরচের হিসাব আলাদা আলাদা এবং যাওয়ার ধরণও একেবারে আলাদা। মাধ্যম দুইটি হচ্ছে –

  1. সরকারি মাধ্যম
  2. বেসরকারি/এজেন্সির মাধ্যম

সরকারি মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ

সুইজারল্যান্ডে এশিয়ার দেশগুলো হতে কর্মী নেওয়ার তেমন কোন একটি প্রসেস নেই। তবে এম্বেসির কাজে কিংবা সরকারি কোন চুক্তিতে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে সরকারি মাধ্যমে লোক পাঠাতে খরচের একটা হিসাব প্রকাশ করা হয়। আনুমানিক একটি হিসেবে জানা যায়, বাংলাদেশ হতে সুইজারল্যান্ডে সরকারি মাধ্যমে যেতে সর্বনিম্ন ৭ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

বেসরকারি/এজেন্সির মাধ্যম মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ

  • বেসরকারি মাধ্যম : এখানে বেসরকারি মাধ্যম বলতে বোঝানো হয়েছে প্রফেশনাল কোন পেশাগত কাজে সুইজারল্যান্ডের কোন কোম্পানিতে কিংবা অফিসে নিয়োগ পেলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার যে প্রক্রিয়াটি; এই প্রক্রিয়াটিকে বেসরকারি মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়েছে। আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানি বা অফিসে জব ইন্টারভিউ ও আপনার সিভি পাঠাতে পারেন।

    আপনি যদি কোন ভাল পেশায় নিযুক্ত আছেন যেমন: ইঞ্জিনিয়ার বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। অথবা আপনি ইংরেজিতে অত্যন্ত দক্ষ এবং সুইজারল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে চাচ্ছেন কিংবা সেখানে গিয়ে পড়ালেখা করতে চাচ্ছেন তবে আপনার যে খরচ পড়বে সেটির হিসাব হচ্ছে বেসরকারি হিসাব। এ বেসরকারি হিসেবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

  • এজেন্সি মাধ্যম : সর্বপ্রথম জেনে রাখা উচিত সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কর্মী নিয়োগ করার চুক্তি আছে এমন এজেন্সির সংখ্যা বাংলাদেশে নেই। আবার থাকলেও এমন এজেন্সির সংখ্যা অনেক কম। তাই প্রতারিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তবে যেসব এজেন্সি বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে নানা চুক্তিতে কর্মী পাঠিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে খরচের হিসাব অনেক বেশি। এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

Read More : Czech Republic Embassy in Bangladesh – Czech Republic visa for Bangladeshi

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায়

হুটহাট করে এক দেশ থেকে অপর দেশে যাওয়া সম্ভব না। বিশেষ করে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে। এসব দেশে যাওয়ার জন্য কিছু কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়াগুলো বা ধাপগুলো পূরণ করার পর আপনি সে দেশে পা রাখতে পারবে। যেমন সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোন মাধ্যম নেই। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম সেখানকার কোন কোম্পানি বা অফিসে জব নিতে হবে।

অথবা আপনি যদি সেখানে গিয়ে পড়তে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে সবার আগে সেখানকার কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। কেননা এশিয়ার দেশগুলো যেমন : ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ইত্যাদি এই দেশগুলোকে সুইজারল্যান্ডের সরকার তৃতীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে ইউরোপিয়ান দেশ বা নন-ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে প্রথম ও দ্বিতীয় দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে।

এই প্রথম ও দ্বিতীয় এগুলো থেকে কর্মী বা লোকজন সহজেই কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তৃতীয় দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কোন লোকজন কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সরাসরি সুইজারল্যান্ডের প্রবেশ করার ভিসা পাবেন না।

এক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর নাগরিকদের সর্বপ্রথম সুইজারল্যান্ড এর কোন কোম্পানি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে এরপর আপনি সেই দেশে যেতে পারবেন। সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে বা যে উপায়গুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে –

  1. ৬ মাস বা এর চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  2. এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।
  3. ইংলিশে দক্ষ হতে হবে কিংবা আইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  4. কোন ভাল প্রফেশনের সাথে জড়িত কিংবা আধুনিক সকল স্কিলস জানা থাকলে আরো ভালো
  5. শিক্ষার উদ্দেশ্যে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে।
  6. কাজের উদ্দেশ্যে গেলে সেখানকার কোম্পানি, রেস্টুরেন্ট কিংবা নানা অফিসে নিজের সিভি প্রেরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে নিজের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
  7. এরপর সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে।
  8. তারপর ফ্লাইট নিয়ে আপনি সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন।

Read More : ফরিদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত | ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি

সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

সুইজারল্যান্ডে উচ্চমানের বেতন পেতে হলে ট্যালেন্টেড হওয়া জরুরী। কেননা ট্যালেন্ট এর উপর ভিত্তি করে তারা বাইরের দেশ থেকে প্রফেশনাল ব্যক্তিদেরকে চাকরি দিয়ে থাকে। তবে এটি কথা বলছি বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করার ক্ষেত্রে। যাদের দক্ষতা অনেক, যারা অনেক স্মার্ট, ইংলিশে অত্যন্ত দক্ষ, বড় বড় প্রফেশনের সাথে জড়িত তারা এসব উচ্চমানের

বেতনের চাকরির জন্য বড় বড় কোম্পানিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে যারা প্রবাসী হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য অনেকগুলো কাজ রয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ইংলিশ জানতে হবে। তাছাড়াও ইংলিশে কথা বলার ক্ষেত্রেও দক্ষ হতে হবে। সুইজারল্যান্ডে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হচ্ছে –

  • রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ।
  • বড় বড় সুপার মার্কেটে সপ-কিপার কিংবা ওয়ার্কার হিসেবে কাজ।
  • বড় বড় হোটেলে বা রিসোর্টে পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ।
  • ক্লিনারের কাজ।
  • ফ্যাক্টরিতে ওয়ার্কারের কাজ।
  • ওয়্যারহাউস বা বড় বড় গুদামে কর্মী হিসেবে কাজ।

সুইজারল্যান্ডে কাজের বেতন কত?

দক্ষতা বা কাজের উপর ভিত্তি করে সুইজারল্যান্ডে কাজের বেতনের পরিমান নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে যারা ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ম্যানেজার কিংবা বড় বড় পদবীতে কাজ করে থাকেন তাদের কাজের বেতন অনেক বেশি। অপরদিকে এদের তুলনায় সামান্য কর্মী হিসেবে কিংবা রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে যারা কাজ করবেন তাদের বেতন অনেক কম হবে।

  1. সুইজারল্যান্ডে একজন সাধারণ কর্মীর ট্যাক্স টাকা কর্তন করে মাসিক বেতন ৩-৪ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।
  2. অপরদিকে সুইজারল্যান্ডে একজন ভালো পদে কর্মরত প্রফেশনালব্যক্তির ট্যাক্স টাকা কর্তন করে মাসিক বেতন ১০-১২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

সুইজারল্যান্ডের মুদ্রাকে “সুইস ফ্রাংক” বলা হয়। সুইস ফ্রাংক – এর মান অনেকাংশে ডলারের মানের কাছাকাছি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সুইস ফ্রাংক-এর রেট ডলারের রেটের তুলনায় বেশি। আমরা যদি কথা বলি সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা হবে। তাহলে সুইজারল্যান্ডের ১ সুইস ফ্রাংক বাংলাদেশের ১২৫.৩২ টাকার সমান

1 CHF = 125.32 BDT

সুইজারল্যান্ডের ১০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

সুইজারল্যান্ডের ১০০০ টাকা বাংলাদেশের 125319.35 টাকা।

Read More : Read More : গাজীপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? গাজীপুরের পূর্ব নাম কি?

FAQ

150000 chf কি ভাল বেতন?

জি হ্যাঁ, 150000 CHF একটি ভাল বেতন। 150000 CHF পরিমান সুইস ফ্রাংক সুইজারল্যান্ডে উচ্চমানের বেতনের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে বড় বড় পেশাদাররা ও ইঞ্জিনিয়াররা এই বেতন পেয়ে থাকেন।

যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা কি সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারবে?

যেহেতু যুক্তরাজ্য একটি ইউরোপিয়ান দেশ। আর সুইজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো ইউরোপিয়ান দেশের নাগরিক সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। চাইলে সেখানে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজও করতে পারবেন। তাই যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা অনেক সহজেই সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারবে।

জার্মান নাগরিকরা কি সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারবে?

জি হ্যাঁ, জার্মান নাগরিকরা সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারবে। জার্মানি একটি ইউরোপিয়ান দেশ। সেই সাথে জার্মানি সুইজারল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ। কাজেই জার্মান নাগরিকরা নির্দ্বিধায় সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারবেন। তারা চাইলে প্রতিদিন জার্মানি হতে সুইজারল্যান্ডে কাজের জন্য আস্তে পারবেন এবং প্রতিদিন কাজ শেষে নিজের দেশে ফেরত যেতে পারবেন। যেখানে যাতায়াতে মাত্র ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের সুইজারল্যান্ডে কাজ করার জন্য ভিসা প্রয়োজন?

না, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক এক দেশ থেকে অপর দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে সাথে অবশ্যই পাসপোর্ট/পরিচয় পত্র থাকলে আরো ভালো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের সুইজারল্যান্ডে কাজ করার জন্য কোনো ভিসা প্রয়োজন নেই। তারা সুইজারল্যান্ডে গিয়ে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজে যোগদান করতে পারবেন।

90000 chf কি ভাল বেতন?

জি হ্যাঁ, 90000 CHF ভাল বেতন। সুইজারল্যান্ডে মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো এই বেতন পেয়ে থাকেন। তবে সেই দেশে এই বেতন মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্য হলেও আমাদের দেশে এই বেতনের পরিমান অনেক বড়।

আমি কি ফ্রান্সে থাকতে পারি এবং সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারি?

ফ্রান্স হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ। উভয় দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভক্ত। তাই আপনি ফ্রান্সে থাকতে পারেন এবং সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে পারেন। তবে আপনি যদি ফ্রান্সের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই। আপনার জন্য এটি অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

5000 chf কি সুইজারল্যান্ডে ভাল বেতন?

জি, 5000 CHF সুইজারল্যান্ডে মোটামোটি ভাল একটি বেতন। তবে সেখানে ছোট ছোট কাজ করা বিদেশী কর্মীরা এই বেতন পেয়ে থাকেন। অনেকে এর চেয়েও কম বেতন পান। সেখানে এই বেতন কিছুটা সামান্য হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্যে এই পরিমান বেতন অনেক।

সুইজারল্যান্ড টাকাকে কি বলে?

সুইজারল্যান্ডের টাকাকে “সুইস ফ্রাংক” বলা হয়। সুইজারল্যান্ডের ১ সুইস ফ্রাংক বাংলাদেশের ১২৫.৩২ টাকার সমান

Read More : কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত? কুড়িগ্রাম জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

উপসংহার

আজকের পোস্টে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে এই বিষয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায় বিস্তারিত জানানো হয়েছে। অতিরিক্তভাবে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই উদ্দেশ্যে কিছু পরামর্শ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।

অনেকে জানতে চান সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা? এটির উত্তর ও আপনারা পেয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া অনেকের মনে সুইজারল্যান্ড নিয়ে সচরাচর নানা প্রশ্ন থেকে থাকে। যেগুলোর উত্তর আমি দিয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী মনে হয়েছে। তাই পোস্টটি শেয়ার করে সকলের কাছে পৌঁছে দিন। কোনো কিছু বলার ও জানার থাকলে কমেন্ট করুন। শতভাগ উত্তর দেওয়া হবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment