আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ১০০, ২০০ এবং ২৫০ শব্দে

বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আপনি কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ খুঁজছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমাদের পোস্ট করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার মাঝে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করা।

তার সাথে আপনার পড়ায় যেন আরো সহযোগিতা হয় সেজন্য আমরা কয়েকটি অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করব। যেগুলো হয়ে থাকবে বিভিন্ন শব্দের। তাই আশা করছি আমাদের আজকের অনুচ্ছেদ গুলো আপনার সহযোগিতা করবে।

সেই সাথে আমাদের দেওয়া অনুচ্ছেদ গুলো যদি আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। তাহলে নিজের সহপাঠীদের সাথে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ১০০ শব্দে

মায়ের মুখের ভাষা কে বলা হয় মাতৃভাষা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। বাঙালিরাই সারা বিশ্বে একমাত্র জাতি যারা নিজের মাতৃভাষা রক্ষা করার জন্য সংগ্রাম করেছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এর জ্বলন্ত প্রমাণ। বিশেষ করে বাঙ্গালীদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। সালাম, রফিক, জব্বার ও অসংখ্য বাংলা মায়ের বীর সন্তানদের জীবনের বিনিময়ে আমরা এই মাতৃভাষা রক্ষা করতে পেরেছি।

বাঙ্গালীদের নিজের ভাষা রক্ষার জন্য এই সংগ্রাম ও চেতনা জানার পর আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো (UNESCO) একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। তাই বাঙ্গালীদের সাথে পুরো বিশ্বের লোকেরা তাদের নিজের মাতৃভাষাকে সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।

Read More : ক্ষুদে গল্প লেখার নিয়ম কি? ৯ টি নিয়ম জেনে ১০ নম্বর তুলুন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ২০০ শব্দে

সারা বিশ্বের বুকে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। কিন্তু এর পিছনের সংগ্রাম ও চেতনার কথা কেবলমাত্র বাঙালি রাই বুঝে। সেই ১৯৫২ সালের আন্দোলনের কথা কোন বাঙালি ভুলতে পারবেনা। অসংখ্য বীর সন্তানেরা বাংলা ভাষা রক্ষা করার জন্য রাজপথে নেমেছিল।

বাংলার কত ছাত্র জনতা তাদের প্রাণ দিয়ে নিজের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছে। তাদের সম্মানে অসরণে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। ভাষার জন্য শহীদ হওয়া সকল বীরদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি বাংলাদেশ উদযাপন করা হয়।

বিশেষ করে একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল সকাল প্রভাত ফেরী বের হয়। প্রভাত ফেরীতে সকল ছাত্র, সাধারণ জনতা, চেতনাবাদী বাঙালি, ধনী, গরিব একত্র হয়ে খালি পায়ে শহীদ মিনারের দিকে গমন করেন। সকলের মুখে একটি ধ্বনি থাকে, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।”

এই ধনী উচ্চারণ করতে করতে সকালেই শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে সকল শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান। এজন্যই পুরা বিশ্বের কাছে বাঙালি জাতি অনেক গর্বিত। একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল আমাদের ভাষার জন্য নয় বরং যারা ভাষার জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা করতেও শেখায়।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল বাঙালি এই দিনটি উদযাপন করেন। তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস। যা নিজের ভাষা ও দেশের শহীদদের প্রতি শোচনা ও অনুপ্রেরণা যোগায়।

Read More : কাস্টমাইজেশন কি? অনলাইনের ভাষায় কাস্টমাইজেশন এর উদাহরণ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ২৫০ শব্দে

বাঙালির ইতিহাসে মাতৃভাষা নিয়ে সংগ্রামের অনেক অধ্যায় রয়েছে। সংগ্রামের এ অধ্যায়ের শুরু অনেক আগেই। সর্বপ্রথম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় বাঙালির তার মাতৃভাষা নিয়ে চেতনা। তাছাড়া তখনই বাঙালি প্রথম শিখেছে সংগ্রামের মাধ্যমে নিজের দাবি আদায় করা।

বলা যেতে পারে এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই পরবর্তীতে সকল আন্দোলনগুলো পূর্ণরূপ নিয়েছিল। তবে এই ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও মহৎ কেবলমাত্র বাঙালিরা বুঝতে পারবে। বাংলা মায়ের অসংখ্য বীর সন্তান শহীদ হয়েছিলেন নিজের এই ভাষা রক্ষার জন্য।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলেই নিজের মায়ের মুখের ভাষা টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। অনেকে নিজের প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছিলেন। দিনটি ছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যখন বাংলার ভূমিতে সর্বপ্রথম শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।

এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া বীরদের শ্রদ্ধা জানানো ও স্মরণ করার একটি প্রতীক নির্মাণ। পরবর্তীতে প্রতিবছরের একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়। যেখানে সকল ধর্ম ও বয়সের বাঙালিরা একত্রিত হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা খালি পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারগুলোতে পুষ্প অর্পণ করতে যান।

সকালের এই প্রভাব শুরুতে সকলেই অংশগ্রহণ করেন। যেখানে সবার মুখে মুখে থাকে, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি?” বাঙালির নিজের ভাষার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে পরবর্তীতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো (UNESCO) এই একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটিকে পুরো বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে।

যেটি তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি সম্মান করতে শেখায়। তবে বাঙালিরা এই দিনটিকে একটু আলাদাভাবে উদযাপন করে কেননা নিজের এই ভাষা রক্ষার জন্য তারা দিয়েছে প্রাণ। এজন্যই প্রতিবছর বাংলার বুকে একুশে ফেব্রুয়ারি এক অনন্য মহাত্ম্য বহন করে। বাঙালির কাছে এই দিনটি হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয় ও শ্রদ্ধাময়।

Read More : মোবাইল চার্জ হতে অনেক সময় লাগে? দ্রুত চার্জ দেয়ার উপায়

Conclusion

আমাদের আজকের উপরোক্ত আলোচনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ ১০০ শব্দে ২০০ শব্দে ২৫০ শব্দে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ার সুবিধার জন্য এই লেখাগুলো সহজ ভাবে লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ এখানে ব্যবহৃত সকল শব্দগুলো সহজ সরল বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্ত। আশা করছি শিক্ষার্থীদের পড়তে কোন অসুবিধা হবে না। তাছাড়া পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তির দিকে নজর রেখে এই অনুচ্ছেদটি উপস্থাপন করা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী যদি ভালো নম্বর পেতে চান তাহলে ২০০ বা ২৫০ শব্দের অনুচ্ছেদ পড়ার কোন বিকল্প নেই।

এছাড়াও অনুচ্ছেদ লিখতে হবে অত্যন্ত সুন্দর ও মার্জিত ভাবে। যাতে পরীক্ষকের নজরে অনুচ্ছেদটি সুন্দর মনে হয়। তবেই তিনি পূর্ণ নাম্বার দিবেন। আমাদের অনুচ্ছেদটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। তাছাড়া নতুন কোন অনুচ্ছেদ যদি পেতে চান সেটিও কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Comment