বর্তমান সময়ে সুইজারল্যান্ড দেশটি আমাদের অনেকেরই আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দেশটির সৌন্দর্য, চালচলন এবং সেখানকার নিয়ম কানুন পৃথিবীর অন্যান্য অংশে বসবাস করা মানুষদের নিজের প্রতি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইতোমধ্যে সুইজারল্যান্ড দেশ নিয়ে আমরা একটি আলোচনা করেছি। আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ডে যেতে চাচ্ছেন তারা সেই আলোচনাটি পড়ে আসতে পারেন। আজকে আমরা সেই একই দেশ নিয়ে আলোচনা করব।
বিশেষ করে আজকে জানিয়ে দেবো সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন, সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত, সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় এবং সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এসকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আলোচনা ভালোভাবে পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
Read More : সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে? যাওয়ার উপায় ও কাজের চাহিদা
সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন? বিস্তারিত তথ্য
সুইজারল্যান্ড দেশটি হচ্ছে পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গের মতো। সুইজারল্যান্ড দেশটি এতটাই মনমুগ্ধকর ও সৌন্দর্যপূর্ণ যে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিরা এই দেশ ভ্রমণ করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। সুইজারল্যান্ড নামক এই দেশটি বরাবরের মতো বেশ কয়েকবার সকল দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে।
জানা যায়, ১২৯১ সালে সুইজারল্যান্ড দেশটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৮৪৮ সালে একটি কনস্টিটিউশন তৈরি করে ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করে। সুইজারল্যান্ডে ১৫০০ এর অধিক হ্রদ রয়েছে। এই দেশের প্রতি ১০ মাইল অন্তর অন্তর একটি করে হ্রদ দেখা দেয়।
এত সংখ্যাক হ্রদ হওয়ায় এদেশের সর্বমোট বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৬০% জলবিদ্যুৎ দিয়ে পূরণ করা হয়। সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে সম্মানিত পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এদেশে সবচেয়ে বেশি বেতন শিক্ষকরা পেয়ে থাকেন।
যেখানে একজন শিক্ষকের বাৎসরিক বেতন ৮৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং প্রত্যেক শিক্ষক প্রতি বছর ১২ সপ্তাহের ছুটি পেয়ে থাকেন। সুইজারল্যান্ড দেশটি বিশ্বাস করে ভবিষ্যতে আবারও পরমাণু যুদ্ধ বাঁধবে। এই কথা বিবেচনা করে সারাটা দেশ জুড়ে পরমাণু যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।
যাতে পরমাণু যুদ্ধের সময় সকল নাগরিক এই বাঙ্কারের মধ্যে অবস্থান করতে পারে। তাছাড়াও পুরো দেশের প্রবেশ মুখে অটোমেটিক গেট, সকল রাস্তা বিমানের রানওয়ে এর মত এবং প্রত্যেকটি ব্রিজ যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে বানানো হয়েছে।
যাতে যুদ্ধের সময় দেশটি সর্বোচ্চ নিরাপদ থাকে এবং নিজের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারে। এই দেশে বেকারত্বের হার অনেক কম। কোনো নাগরিক যদি ২ বছরের অধিক সময় ধরে বেকার থাকেন তাহলে সেখানকার সরকার সেই ব্যক্তিকে ভাতা প্রদান করে থাকেন। যার মধ্যে বিনোদন ও ভ্রমণ ভাতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাছাড়া এই দেশের একটি নিয়ম হচ্ছে গাড়ি সবসময় পরিষ্কার রাখা। কারও যদি গাড়ি থেকে থাকে তাহলে সব সময় গাড়িকে পরিষ্কার রাখতে হবে। নাহলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে।
সুইজারল্যান্ড কোথায় অবস্থিত?
সুইজারল্যান্ড ইউরোপে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ, সুইজারল্যান্ড একটি ইউরোপিয়ান কান্ট্রি কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই দেশটি জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে নিজের সীমানা ভাগাভাগি করে। সুইজারল্যান্ড এর উত্তরে জার্মানি, দক্ষিণ ও পূর্ব দক্ষিণে ইতালি, পশ্চিমে ফ্রান্স এবং পূর্বদিকে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে।
Read More : Czech Republic Embassy in Bangladesh – Czech Republic visa for Bangladeshi
সুইজারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে কোন প্রধানমন্ত্রী নেই সেই দেশের রাষ্ট্রীয় দায়ভার রাষ্ট্রপতি বহন করেন সুইজারল্যান্ড ফেডারেলে বর্তমান রাষ্ট্রপতী বা সভাপতিত্বকারী সদস্য হচ্ছেন – ভায়োলা আমহার্ড। তিনি একজন নারী।
সুইজারল্যান্ড রাজধানীর নাম কি?
সুইজারল্যান্ড এর রাজধানীর নাম হচ্ছে – বার্ন। এই বার্ন নামক শহর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী হলেও এটি সেই দেশের বৃহত্তম শহর নয়। বোরন সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর হচ্ছে – জুরিখ। এই জুরিখ শহরে ৫০টি জাদুঘর ও ১০০তীর মতো আর্ট গ্যালারি রয়েছে।
সুইজারল্যান্ড জনসংখ্যা কত?
সুইজারল্যান্ডের মোট আয়তন ৪১,২৮৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী সুইজারল্যান্ডের জনসংখ্যা হচ্ছে – ৮৭,০৩০০০ জন (৮৭ লক্ষ ৩ হাজার জন)।
সুইজারল্যান্ড ভাষা
সুইজারল্যান্ড এর রাষ্ট্রীয় ভাষা হচ্ছে ৪ টি –
- জার্মান
- ফরাসি
- ইতালীয় এবং
- রোমান্স
সুইজারল্যান্ড ধর্ম
সুইজারল্যান্ডে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ বসবাস করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খিষ্ট্রান, মুসলিম ও ইয়াহুদী ধর্মাবলম্বীরা। এদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী জনসংখ্যার হার হলো –
ধর্ম | হার |
---|---|
খ্রিস্টান | ৬৮% |
মুসলিম | ২.৫% |
ইয়াহুদী | ২.৫% |
নাস্তিক বা কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয় | ২৭% |
সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত?
সুইজারল্যান্ড চকলেটের জন্য বিখ্যাত। চকলেট রপ্তানি করা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশে প্রতিবছর প্রায় ১,৭২০০০ টন (১ লক্ষ ৭২ হাজার টন) চকলেট উৎপাদন করা হয়। তাছাড়াও নিজের সৈন্দর্য্যের জন্যেও দেশটি বেশ বিখ্যাত।
বিশাল বিশাল পাহাড়, গাছপালা, হ্রদ, নদ-নদী এবং সুন্দর সুন্দর ইমারতের জন্যেও দেশটি বেশ বিখ্যাত। তাই তো সারা পৃথিবী থেকে লোকজন এই দেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসতে চান। এছাড়াও নিজের নিয়ম-নীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলার জন্যেও দেশটি বেশ পরিচিত।
পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিময় ও সুশৃঙ্খল দেশগুলোর তালিকায় সুইজারল্যান্ডের অবস্থান আছে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও অনেক উন্নত এবং নিজের নাগরিকদের নিয়ে অনেকটা সচেতন।
Read More : ফরিদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত | ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি
সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় বেশ কয়েকটি পথ রয়েছে। যাদের মধ্যে সকল পথ সম্পর্কে আপনাদের অবগত করার চেষ্টা করবো। সুইজারল্যান্ড যেহেতু ইউরোপিয়ান দেশ তাই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া এতটা সহজ নয়। আর যদি ভাগ্যক্রমে নাগরিকত্ব পেয়ে যান তবে তো আপনার মতো ভাগ্যবান আর কেউ নেই।
কারণ ইউরোপিয়ান নাগরিকের মান কেমন এটি আমরা সকলেই জানি। এখন যদি সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বলি। তাহলে এই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। আপনাকে যে যে শর্ত পূরণ করতে হবে –
- বংশসূত্রে : আপনার কোনো পূর্বপুরুষ যদি সুইস নাগরিক হয়ে থাকেন কিংবা ছিলেন তাহলে আপনি সেই সূত্রে সুইজারল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
- বৈবাহিক সূত্রে : আপনি যদি কোনো সুইস নাগরিককে বিবাহ করেন। তার সাথে সর্বনিম্ন ৩ বছর সুইজারল্যান্ডে বসবাস করার পর আপনি সুইস নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- স্বাভাবিকভাবে : কোনো ব্যক্তি যদি ১০ বছর সুইজারল্যান্ডে বসবাস করে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারেন তবে তিনি সুইস নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। শর্তসমূহ হচ্ছে –
- সুইজারল্যান্ডের নিয়ম-কানুন ও রীতিনীতি জানতে হবে।
- সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বাস করার মানসিকতা থাকা লাগবে।
- সুইজারল্যান্ডে কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস যেন না থাকে।
- আর্থিকভাবে সচ্ছল ও সাবলম্বী হতে হবে।
- সুইজারল্যান্ডের ৪ টি রাষ্ট্রীয় ভাষা জার্মান, ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমান্সে দক্ষ হতে হবে।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া আপনি চাইলে কাজের উদ্দেশ্যে সেই দেশে যেতে পারেন। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড সরকার কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ও নন-ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তারা ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে ১ম ক্যাটাগরির দেশের তালিকায় এবং নন-ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সে তালিকায় এশিয়ার দেশগুলো যেমন : ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ শ্রীলংকা এবং নেপাল ইত্যাদি দেশগুলোকে তারা তৃতীয় ক্যাটাগরির দেশের তালিকায় রেখেছে। এই তালিকায় তৃতীয় ক্যাটাগরির দেশগুলোকে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পার্মিট দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
কিন্তু আপনি চাইলে কাজের ভিসা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।
- আপনাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি হতে হবে। তাছাড়া কোনো উন্নত প্রফেশন যেমন : ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদির সাথে জড়িত হলে আরো ভালো।
- আপনাকে অনলাইনে বিভিন্ন সুইজারল্যান্ডের কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করতে হবে।
- চাকরির সিভি প্রদান ও ইন্টারভিউ দিয়ে যদি চাকরি পেয়ে যান এরপর সেই কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
- সেই কোম্পানি আপনার ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আপনাকে সুইজারল্যান্ডে নিয়ে যাবে।
- তাছাড়া বাংলাদেশে কোনো সৎ এজেন্সি যদি সুইজারল্যান্ডে কর্মী প্রেরণের কোনো চুক্তি করে থাকে তবে সে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। (এমন এজেন্সি নেই থাকলেও সংখ্যা অনেক কম; তাই প্রতারিত হবেন না)
- তারপর কমপক্ষে ১২-১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে আপনি সুইজারল্যান্ড যেতে পারবেন।
Read More : গাজীপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? গাজীপুরের পূর্ব নাম কি?
FAQ
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ কত?
আপনি যদি সুইজারল্যান্ড এ কাজ করেন বা করতে যাচ্ছেন তাহলে আপনার মাথায় এই প্রশ্নটি অবশ্যই থাকবে। সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ নির্ভর করবে আপনি কিভাবে যাচ্ছেন। আপনি যদি সরকারি কোনো মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন। তাহলে আপনার খরচ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পড়তে পারে। অপরদিকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে
সুইজারল্যান্ড এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
সুইজারল্যান্ডের সদর দপ্তর বার্ন শহরে অবস্থিত। বার্ন হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। কাজেই একটি দেশের সদর দপ্তর সেই দেশের রাজধানী শহরে থাকে।
সুইজারল্যান্ডে মুসলমানদের সংখ্যা কত?
সুইজারল্যান্ডে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অপরদিকে মুসলমানদের সংখ্যা হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২.৫%; কিন্তু বিদেশী মুসলমাদের সংখ্যাও সে দেশে রয়েছে। তবে নাগরিকত্বের দিক দিয়ে কেবল ২.৫% জনসংখ্যা মুসলমান।
ইউরো কি সুইজারল্যান্ডে গ্রহণ করা হয়?
ইউরো সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা নয়। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার নাম হচ্ছে – সুইস ফ্রাংক। কিন্তু সুইজারল্যান্ড এ অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকান রয়েছে সেখানে ইউরো গ্রহণ করা হয়। কেননা এ দেশে বেশিরভাগ পর্যটন ইউরোপ থেকে এসে থাকেন তাই ইউরো গ্রহণ করা হয়। তবে অফিসিয়াল ভাবে ইউরো গ্রহণ করার কোন অনুমতি নেই। তাই সবসময় নিজের কাছে সুইস ফ্রাংক রাখা ভালো।
উপসংহার
আজকের পোস্টে সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন এই বিষয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত বিস্তারিত জানানো হয়েছে। অতিরিক্তভাবে সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। এছাড়াও সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি।
অনেকে জানতে চান সুইজারল্যান্ড কোথায় অবস্থিত, এর প্রধানমন্ত্রী, ভাষা, ধর্ম ও জনসংখ্যা সম্পর্কে। এসব উত্তরও আপনারা পেয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া অনেকের মনে সুইজারল্যান্ড নিয়ে সচরাচর নানা প্রশ্ন থেকে থাকে। যেগুলোর উত্তর আমি দিয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী মনে হয়েছে। তাই পোস্টটি শেয়ার করে সকলের কাছে পৌঁছে দিন। কোনো কিছু বলার ও জানার থাকলে কমেন্ট করুন। শতভাগ উত্তর দেওয়া হবে। ধন্যবাদ।