পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়? কেনার আগে করণীয় কি?

বর্তমান সময়ে সব ইলেকট্রনিক্স এর জিনিস পুরাতন পাওয়া যায়। আর যদি কথা বলা যায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে। তাহলে এই ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস গুলো অতি সহজেই পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড পাওয়া যায়।

আজকের আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়। তার সাথে আপনি কিভাবে পুরাতন ল্যাপটপগুলি কিনতে পারবেন সে বিষয়েও ধারণা দেওয়া হবে।

বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। আর এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গতিশীল অবদান হচ্ছে ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের। কম্পিউটার কে ডেস্কটপ বলা হয়।

এটি ব্যবহার করার জন্য আলাদা ভাবে মনিটর ও সিপিইউ প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। কম্পিউটারের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ল্যাপটপ।

কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেখানে আলাদা আলাদা পার্টস একসাথে সংযোগ করে ব্যবহার করতে হয়। সেখানে ল্যাপটপে এই পার্টসগুলো সব একসাথে আগে থেকেই সংযোগ করা থাকে।

যার কারণে ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য বাড়তি কোনো স্পেস প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া এটি অনেক সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা প্রফেশনাল লোক।

বা যাদের সব সময় প্রেসেন্টেশন সাথে নিয়ে ঘুরতে হয় তারা অতি সহজে ল্যাপটপ ব্যবহার করে এ কাজটি করতে পারেন। তাই অনেক মানুষের কাছে ল্যাপটপ অনেক জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।

Read More : নতুন ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন | ৫টি কার্যকর নিয়ম

পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়?

অনেকের নতুন ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য থাকে না কিন্তু ল্যাপটপ ব্যবহার করার অনেক ইচ্ছা। তাদের জন্য একটি সুবিধা হচ্ছে যে বাংলাদেশের মার্কেটে পুরাতন ল্যাপটপ অতি সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকায় আপনি সেই ল্যাপটপটি কিনতে পারেন না। এজন্যই আজকে এই বিষয়ের উপর আলোচনা বেছে নিয়েছি যে, পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়? পুরাতন ল্যাপটপ অনলাইনে বা অফলাইনে দুই জায়গাতেই পাওয়া যায়।

এটি আপনার উপর যে আপনি কোথায় থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। তবে আমি অফলাইন এবং অনলাইনে উভয় ক্ষেত্রে কিভাবে পুরাতন ল্যাপটপে কিনতে পারবেন সে বিষয়ে আলোচনা করে দেব।

দুটি আলোচনার মধ্যে যে আলোচনাটি আপনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। আপনি সেই হিসেবে নিজের জন্য পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কে যে অনলাইনে আমরা কিভাবে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারি।

অনলাইনে পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়?

তো বন্ধুরা অনলাইনে ল্যাপটপ কেনার জন্য অনেকগুলো ই-কমার্স রয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামতি ও ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে থাকে।

শুধুমাত্র পুরাতন ল্যাপটপ নয় বরং নতুন অনেকগুলো ডিভাইস আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোতে পেয়ে যাবেন। সহজে পুরাতন ল্যাপটপ পাওয়া যাবে এমন বাংলাদেশের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ই কমার্স ওয়েবসাইটগুলো হচ্ছে।

  1. bikroy.com
  2. daraz.com
  3. Cell bazaar
  4. ফেসবুক মার্কেটপ্লেস

1. bikroy.com

বিক্রয় ডট কম বাংলাদেশের অন্যতম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরাতন জিনিস বেচাকেনার ওয়েবসাইট। এখন থেকে আপনি শতভাগ নিশ্চিত পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। শুধু একটি দুটি নয় বরং বিভিন্ন দামে অসংখ্যা পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন।

এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে বিক্রয় ডট কমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে সবার উপরে হেডার সেকশনে নিজের লোকেশন সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন বিভাগের কোন জেলায় বর্তমানে থাকছেন সেটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।

এতে আপনার অনেক বড় সুবিধা হবে। কারণ এই অপশনের মাধ্যমে বিক্রয় ডট কম আপনার এলাকার আশেপাশে যতজন পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করছেন তাদের তথ্য দিয়ে দিবে। আপনি সেই বিক্রি পোস্টগুলোর ভিতর প্রবেশ করে ল্যাপটপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি দেখে নিতে পারবেন ল্যাপটপ কত দিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া র্যাম কত জিবি, হার্ডডিস্ক কত জিবি, ল্যাপটপের মডেল, চার্জিং স্ট্যাবিলিটি ইত্যাদি সব বিষয় ভালোভাবে দেখে শুনে যেটি আপনাকে পছন্দ হবে সেটি বিবেচনা করে সেলারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

Read More : ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপস ডাউনলোড করব?

যোগাযোগের জন্য আপনি সেলারকে/বিক্রেতাকে সরাসরি মেসেজ করতে পারবেন। তাছাড়া বিক্রেতার নাম্বার দেওয়া থাকে যার মাধ্যমে আপনি চাইলে বিক্রেতাকে সরাসরি মোবাইলে কল করে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

যেহেতু আপনি আশেপাশের কোনো ব্যক্তির কাছে পুরাতন ল্যাপটপ কিনছেন এতে আরো একটি সুবিধা পাবেন যে আপনি আগে সেই ল্যাপটপ স্বশরীরে গিয়ে নিজেই পর্যালোচনা করতে পারবেন। ফেস টু ফেস টাকা প্রদান ও জিনিস কিনতে পারবেন।

তাই অনলাইনে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করার ক্ষেত্রে বিক্রয় ডট কম সবচেয়ে ভালো জায়গা।

2. Daraz.com

দারাজ বাংলাদেশের আরেকটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ইকমার্স ওয়েবসাইট। দারাজে সরাসরি পুরাতন জিনিস পাওয়া যায় না। কিন্তু দারাজের সেলারদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি তাদের কাছ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যেতে পারেন।

দারাজের বিক্রেতাগণের কাছে পুরাতন ল্যাপটপ থাকে। আপনি যদি কোনো বিক্রেতাকে চিনে থাকেন কিংবা যোগাযোগ থাকে তাহলে আপনি তাদের কাছে পুরাতপ ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি এত কষ্ট করতে না চান তাহলে বিক্রয় ডট কম থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নেওয়া শ্রেয়।

3. Cell bazaar

সেলবাজার বিক্রয় ডট কমের মতো একটি অনলাইন কেনাবেচার ওয়েববসাইট। কিন্তু এটি ততটা জনপ্রিয় না হওয়ায় অনেকে এর ব্যাপারে জানেন না। আপনি যদি চান তাহলে সেলবাজারের অফিসিয়াল ওয়েববসাইট থেকে সহজে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।

সর্বপ্রথমে আপনাকে সেলবাজারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর উপরে সার্চ বার দেখতে পাবেন। সেখানে আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপ সার্চ করতে হবে। তারপর রেসাল্ট হিসেবে আপনার সামনে পুরাতন ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে।

আপনি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড, কালার, রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী একটি সুন্দর ল্যাপটপ সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করে ল্যাপটপ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে সবগুলো ঠিকঠাকভাবে দেখে নিয়ে ল্যাপটপটি কিনে নিবেন।

4. ফেসবুক মার্কেটপ্লেস

বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই আমরা কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করি। ফেসবুক মার্কেট প্লেসে অনেকগুলো পোস্ট দেখা যায় যেগুলোতে পুরাতন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকে।

আবার এইসব বেচাকেনার জন্য অনেকগুলো বিশ্বস্ত গ্রুপ ফেসবুকে রয়েছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান। তাহলে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস আপনার জন্য একটি ভালো অপশন হতে পারে। কারণ এখন সবাই ফেসবুক চালাতে অভিজ্ঞ।

তাই সহজে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ অনুসন্ধান করতে পারবেন। অনুসন্ধান করার পর কোন ল্যাপটপ যদি ভালো লাগে। বিক্রেতার সাথে সরাসরি মেসেঞ্জারে কথা বলে নিতে পারেন। তারপর ল্যাপটপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তার কাছে চেয়ে নিবেন।

ল্যাপটপের মডেল, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি, র‍্যাম, সাইজ এবং কতদিন থেকে ব্যবহার হচ্ছে জেনে নেওয়ার পর একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ল্যাপটপে যদি ভালো লাগে তাহলে আপনি বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি বা কুরিয়ারের মাধ্যমে ল্যাপটপটি কিনে নিতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া শুধু ফান করার জায়গা নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি আপনার নিজের কাজও সেরে নিতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এমনই একটি উদাহরণ।

Read More : ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম । ৩টি চমৎকার নিয়ম ও সফটওয়্যার

অফলাইনে পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়?

অফলাইনে পুরাতন ল্যাপটপ পাওয়ার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে আপনার পার্শ্ববর্তী কোন কম্পিউটার রিপেয়ার দোকানে যান। সেখানে যিনি কম্পিউটার রিপেয়ার করেন তার কাছে অবশ্যই পুরাতন ল্যাপটপ থাকতে পারে।

যদি তার কাছে পুরাতন ল্যাপটপ না পাওয়া যায় তাহলে তিনাকেই বলে আপনি প্রথম ল্যাপটপ জোগাড় করে নিতে পারেন। অনেকে আছেন যারা নিজের পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করতে তাদের কাছে আসেন। সে কম্পিউটার রিপেয়ার দোকানের লোকজনের কাছে তাদের তথ্য থাকে।

আপনি যদি তাদেরকে একটু জোর করে বলেন তাহলে তারা আপনার জন্য পুরাতন ল্যাপটপ খুঁজে দিতে পারে। আর যদি আপনি অতি সুলভ মূল্যে এবং কম দামে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান সে জন্যও অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

আপনি যদি রংপুর বিভাগের হয়ে থাকেন তাহলে অনেক অনেক বড় বড় ও কম্পিউটারের মেকানিক্স এর দোকান রয়েছে। এসব দোকানে পুরাতন ল্যাপটপ প্রতি সহজেই পাওয়া যায়।

বিশেষ করে রাজা রামমোহন রায় হল কম্পিউটার পার্টস এর জন্য অনেক বিখ্যাত। আপনি সেখানে গিয়ে নিজের জন্য পুরাতন ল্যাপটপ বা পুরাতন কম্পিউটার নিতে পারেন।

তাছাড়া আপনি যদি ঢাকা বিভাগের লোক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য আরও অতি কম দামে কম্পিউটার এবং পুরাতন ল্যাপটপ রয়েছে। ঢাকার গুলশান, এয়ারপোর্ট রোড, এলিফ্যান্ট রোড ইত্যাদি প্রমুখ জায়গায় পুরাতন ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের দোকান রয়েছে।

এসব দোকানে গিয়ে আপনি নিজের ইচ্ছামতো নিজের পছন্দনীয় মডেল ও ব্র্যান্ড অনুযায়ী পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। তারা অনেক সুলভ মূল্যে এসব ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকে। তাই ল্যাপটপের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বাজেট তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। তোরা যদি রাজি হয়ে যায় তাহলে আপনি ল্যাপটপ কিনে নিবেন।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি?

পুরাতন ল্যাপটপ গুলোর মধ্যে অনেকগুলো ত্রুটি থাকে। আপনি যদি ল্যাপটপ ব্যবহারে অভিজ্ঞ না হন তাহলে, আপনি এই ত্রুটিগুলো ধরতে পারবেন না।

তাই ভালো হবে আপনি যদি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়াও আমি কিছু কিছু বিষয় জানিয়ে দেবো যেগুলো চেক করে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন।

  1. ল্যাপটপের ডিসপ্লে
  2. ল্যাপটপের কিবোর্ড
  3. ল্যাপটপের র‍্যাম ও এসএসডি
  4. ইউএসবি পোর্ট
  5. মাউস সেন্সর
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি?
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি?

1. ল্যাপটপের ডিসপ্লে

কোন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের ডিসপ্লে ভালোভাবে চেক করে নেওয়া জরুরী। কেননা যেসব পুরাতন ল্যাপটপের স্ক্রিনে বা ডিসপ্লেতে দাগ থাকে, সেগুলো ডিসপ্লে অনেক তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই পুরাতন ল্যাপটপে যদি ডিসপ্লে তে কোন দাগ থাকে সে ল্যাপটপ না কেনাই উত্তম
আর যদি কিনে থাকেন। তাহলে বেশি দাম দিয়ে কেনা দরকার নেই।

Read More : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় এবং ফাস্ট করার উপায়

2. ল্যাপটপের কিবোর্ড

অনেক পুরাতন ল্যাপটপের কিবোর্ড নষ্ট থাকে। আর এই কিবোর্ড ঠিক করানোর জন্য প্রচুর টাকা খরচ হয়। তেমনি ভালোভাবে চেক করে নেবেন টাইপিং করে যে কিবোর্ডের কোন সমস্যা আছে কিনা। এর জন্য টাইপিং করার সময় আপনি কি বোর্ডের সকল কি প্রেস করবেন।

একেকবার করে সকল কি প্রেস করে দেখবেন সকল কি কাজ করছে কিনা। যদি কিবোর্ড এর সকল কি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সে ল্যাপটপের কিবোর্ড ভালো। আর যদি কোন কি কাজ না করে তাহলে সে ল্যাপটপ কিনবেন না। কেননা আগামীতে এই কিবোর্ড অতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।

3. ল্যাপটপের র‍্যাম ও এসএসডি

একটি ল্যাপটপ কত দ্রুত কাজ করবে এটি তার র‍্যাম ও এসএসডির উপর ডিপেন্ড করে। ল্যাপটপে যত বেশি রান থাকবে সেটি তত দ্রুত ও সহজ ভাবে কাজ করবে। তা না হলে ল্যাপটপে অনেকগুলো জটিলতা থাকবে। আপনি বড় ধরনের কোন সফটওয়্যার নিজের ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন না।

আর কোন ল্যাপটপে থাকা এসএসডি ল্যাপটপকে আরো স্মুথ করে। কাজেই কোন ল্যাপটপে যদি বেশি পরিমাণে র‍্যাম থাকে ও একটি এসএসডি কার্ড থাকে তাহলে ল্যাপটপটি অনেক ভালো। এমন ল্যাপটপ কিনে নিবেন।

কিন্তু যদি সীমিত বা কম পরিমাণে RAM থাকে তাহলে ল্যাপটপটি না কেনাই উত্তম। কারণ আপনি কোন বড় ধরনের কাজ নিজের ল্যাপটপে করতে পারবেন না।

4. ইউএসবি পোর্ট

ইউএসবি পোর্ট হচ্ছে ল্যাপটপের সাইডে থাকা অনেকগুলো ছিদ্র। এই ছিদ্রগুলোর চ্যাপ্টা রকমের হয়ে থাকে। যেখানে আপনি নিজের বাড়তি কিবোর্ড বা মাউস কিংবা অন্য কিছুর পোর্ট ঢুকিয়ে ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করেন।

এই ইউএসবি পোর্ট নষ্ট থাকলে আপনি কিন্তু বাড়তি কোনো পার্টস ল্যাপটপের সাথে সংযোগ করতে পারবেন। তাই এমন ল্যাপটপ কিনবেন যার ইউএসবি পোর্টগুলো ভালো কন্ডিশনে আছে।

5. মাউস সেন্সর

প্রত্যেকটি ল্যাপটপে ব্যবহার করার জন্য একটি মাউস সেন্সর কিবোর্ড এর নিচে দেওয়া থাকে। এই মাউস সেন্সর দিয়ে আপনি এই ল্যাপটপে মানুষের কাজ করতে পারেন। অনেকে আবার বাড়তি মাউস ব্যবহার করে।

কিন্তু ল্যাপটপের সাথে দেওয়া প্রাইমারি যে মাউস সেন্সর রয়েছে এটি নষ্ট থাকলে অনেকগুলো সমস্যা হয়। আপনি যদি ট্রাভেলের সময় ল্যাপটপ নিয়ে যান। তাহলে একটি বাড়তি মাউস সাথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

তখন আপনাকে ল্যাপটপের সাথে দেওয়া প্রাইমারি মাউসেন্স ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু যদি সেই সেন্সরটাই নষ্ট থাকে তাহলে আপনাকে বিপাকে পড়তে হবে। এজন্য সর্বোত্তম হচ্ছে একটি ভালো মাউস সেন্সর যুক্ত পুরাতন ল্যাপটপ কেনা।

Leave a Comment