কাস্টমাইজেশন কি? অনলাইনের ভাষায় কাস্টমাইজেশন এর উদাহরণ

আপনি কি কাস্টমাইজেশন এর ব্যাপারে জানতে চাচ্ছেন। কাস্টমাইজেশন কি? এটি মূলত কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাছাড়াও কাস্টমাইজেশন কত প্রকার ইত্যাদি বিষয়ে আপনি জানতে ইচ্ছুক। তাহলে চিন্তার কোন বিষয় নেই।

আজকে আমরা এই বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করব। সর্বপ্রথম আমরা যে বিষয়টি জানিয়ে দিব সেটি হচ্ছে কাস্টমাইজেশন কি। এর সংগে আপনাকে বুঝিয়ে দিয়ে আমরা পরবর্তী ধাপে চলে যাব।

পরবর্তী ধাপগুলোতে আপনাকে কিছু বিশেষ বিশেষ ধরনের কাস্টমাইজেশন এর ব্যাপারে অবগত করা হবে। তো চলুন বেশি সময় নষ্ট না করে আমাদের মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।

কাস্টমাইজেশন কি?

কাস্টমাইজেশন হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন প্রডাক্ট, বস্তু, সার্ভিস, যন্ত্র, অস্ত্র শস্ত্র, ইত্যাদি কাস্টমার বা গ্রাহকের ফরমায়েশ অনুযায়ী আবারো নতুন করে নির্দিষ্ট আকারে ও নকশায় রূপান্তর করে দেওয়া কাস্টমাইজেশন বলে।

কাস্টমাইজেশন এর বিভিন্ন রূপ হতে পারে। সহজ ভাষায় আপনি এটিকে বুঝতে পারেন যে আগের কোন বস্তু একটি নির্দিষ্ট আকার ও নকশায় উপস্থাপন করা থাকে।

কিন্তু পরবর্তীতে নিজেদের সুবিধা, চাহিদা ও ফরমায়েশ অনুযায়ী সে জিনিস বা বস্তুকে আবারো নতুন রূপে, নতুন নকশায় ও নতুন আকারে রূপান্তর করাকে কাস্টমাইজেশন বলা হয়। আশা করি এতদূর আপনি বুঝে গিয়েছেন কাস্টমাইজেশন কি।

কাস্টমাইজেশন মূলত আগের কোন জিনিসকে নিজের মত করে সাজিয়ে তোলা। এবার আমরা পরবর্তী ধাপগুলোতে চলে যাব।

আরো পড়ুনসহজভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করা শিখে নিন

অনলাইনের ভাষায় কাস্টমাইজেশন এর উদাহরণ

অনলাইনের ভাষায় কাস্টমাইজেশনের অনেক প্রকার। আপনারা ইতমধ্যে জানেন যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের কাজের মধ্যে অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন কেউ কেউ কাজ করেন ইউটিউব প্লাটফর্ম এ।

আবার অনেকে কাজ করেন ওয়েবসাইট নিয়ে। ওয়েবসাইট হয়ে থাকে ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে। তাই অনলাইনে অতি পরিচিত কয়েকটি কাস্টমাইজেশন গুলো হচ্ছে।

  1. ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন
  2. ব্লগার কাস্টমাইজেশন
  3. থিম কাস্টমাইজেশন
  4. ইউটিউব কাস্টমাইজেশন

ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন

ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমারেশন বলতে বোঝায় ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল, ডিজাইন, প্লাগ ইন সেটা ইত্যাদি। অর্থাৎ একটি ডোমেইন-হোস্টিং কেনার পর সেটি কে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট এর রূপ দেওয়া কে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন বলে।

যারা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করেন। তারা প্রতিনিয়ত এইসব কাস্টমাইজেশন করতে থাকে। বলা যেতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার বা ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করার ব্যক্তিদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন হচ্ছে একটি মৌলিক বিষয়।

ব্লগার কাস্টমাইজেশন

ঠিক ওয়ার্ডপ্রেসের মতোই ব্লগারও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু এদের মধ্যে তফাৎ হচ্ছে যে ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য আলাদা হোস্টিং নিতে হয়। তাছাড়াও ডোমেইন আলাদাভাবে কিনতে হয়। কিন্তু ব্লগারের ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রি হোস্টিং দেওয়া হয়।

যেটি হয়ে থাকে গুগলের প্রোডাক্ট। ব্লগার হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট। তাছাড়া ব্লগার আপনাকে ফ্রি ডোমেইন দেওয়া হয়। যাকে ব্লগস্পট ডোমেইন বলে। ঠিক ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল, প্লাগইন সেটাপ, ও ডিজাইনের মতোই ব্লগারে ওয়েবসাইট ইন্সটল ও ডিজাইনের মত ব্লগার কাস্টমাইজেশন রয়েছে।

যারা ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করেন তারা মোটামুটি ব্লগার কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে ব্লগার এ কাজ করতে অনেকের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ এখানে কাজ করা অনেক সহজ এবং কাস্টমাইজেশন করাও অনেক সহজ।

থিম কাস্টমাইজেশন

থিম কাস্টমাইজেশন ওয়েবসাইটের কাজের অন্তর্ভুক্ত। একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দররূপে সজ্জিত করার জন্য থিম প্রয়োজন। মার্কেটে বা অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক ধরনের থিম পাওয়া যায়। অনেকগুলো থিম বিনামূল্যে আবার অনেকগুলো টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়।

তাছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে নিজস্ব প্লাগিন সিস্টেম। সে প্লাগিন এর থিম অপশনে অসংখ্য ফ্রি থিম দেওয়া থাকে। তবে ব্লগারের ক্ষেত্রে গুগলের দেওয়া অনেকগুলো থিম পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ অন্যান্য থিম ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

আরো পড়ুনআমার জিমেইল একাউন্ট ভুলে গেছি – রিকভারের নিয়ম জেনে নিন

তাই ব্লগার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা তাদের ব্লগার ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের থিম ব্যবহার করেন। এই থিমগুলো আগে থেকেই কাস্টমাইজ করা থাকে। কিন্তু অনেক ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীগণ সেই থিম গুলোকে আবার নিজের মতো করে কাস্টমাইজেশন করতে পছন্দ করেন।

এ কথা বিবেচনা করে থিম প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো তাদের থেমে কাস্টমাইজেশন অপশন রাখেন। যার কারণে পরবর্তীতে ব্যবহারকারীগণ নিজের ইচ্ছামত থিমটিকে কাস্টমাইজ করতে পারেন।

ইউটিউব কাস্টমাইজেশন

একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর এর এসিও, লোগো, ব্যানার, ডিসক্রিপশন, ট্যাগ ইত্যাদি বিষয়বস্তুকে ইউটিউব কাস্টমাইজেশন বলে। অর্থাৎ একটি চ্যানেলকে সুন্দর রূপে সজ্জিত করার জন্য ও এর এসইও কাজ সম্পাদন করার জন্য যাবতীয় কাজগুলোকে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন বলা হয়।

Leave a Comment